নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পুরুলিয়া ইউনিয়নের নওয়াগ্রামের গাউছ মোল্লার ছেলে শাহীন মোল্লা ঢাকাতে পড়ালেখা করেন। এবং এর ই মধ্যে শাহীন মোল্লার জীবনে সু মধুর প্রেমের আবির্ভাব ঘটে। ঢাকার কেরানীগঞ্জের মেয়ে লাকী আক্তারের সাথে।

লাকী আক্তার বলেন শাহীন মোল্লার সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে দীর্ঘ দুই বছর যাবত । প্রতিনিয়ত আমাদের সাথে ২০১৮সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত একে অপরের মোবাইল ফোন আলাপের মাধ্যমে কথোপকথন হয়।

২০২০ সালের শেষের দিকে শাহীনের চাচাতো ভাগ্নির বাসাতে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে শ্যামলী নামক স্থানে আমাকে নিয়ে যায় এবং ঐ ভাগ্নির বাসার মধ্যে আমার সরলতার সুযোগে আমাকে ব্লাকমেইল করে জোর পূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করে।

অবশেষে কোনো উপায়ান্ত না পেয়ে আমি দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই এবং শাহীন মোল্লা কে বলি আমাকে বিবাহ করো?

শাহীন মোল্লা বলেন আমরা একটি বাসা ভাড়া করে ওখানে স্বামী স্ত্রী রূপে বসবাস করি, সময়-সুযোগ মতো বিবাহ করে নিব। অবশেষে শাহীন মোল্লা বাসা ভাড়া করে ওখানে দুই মাসের ঊর্ধ্বে পর্যন্ত আমাকে রাখে এবং শাহীন মোল্লার মোবাইল ফোনে শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও চিত্র টি ধারণ করে ।

পরবর্তীতে উক্ত ভিডিও চিত্র টি আমার মোবাইল ফোনের মেসেঞ্জারে দিয়ে দেয় । তখন আমি শাহীন মোল্লাকে বিবাহ করার জন্য বারবার চাপ সৃষ্টি করি।

তখন শাহীন মোল্লা বিভিন্ন অজুহাত দাঁড় করায়, হাতে টাকা নাই, সময় পাচ্ছিনা, আর একটু দেরি করো।

অবশেষে শাহীন মোল্লা লাকী আক্তার কে ওই ভাড়া করা বাসায় ফেলে রেখে পালিয়ে আসে তার বাড়িতে। পরিশেষে গত ৬ মে ২০২১ তারিখ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটের সময় লাকী আক্তার ঢাকা থেকে ওই প্রেমিক শাহিন মোল্লার বাড়িতে এসে অনশন করে।

এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ চেয়ারম্যান মেম্বার সহ উপচে পড়া ভিড় জমে ওঠে ঐ বাড়িতে। লাকী আক্তার ওই উপচে পড়া ভিড়ের মধ্যে বলেন আমাকে শাহীন মোল্লা বিবাহ না করিলে আমি আত্মহত্যা করব।

উক্ত ঘটনাটি নড়াইলের কালিয়া থানা পুলিশ অবগত হলে গত ৭ মে ২০২১ তারিখ রোজ শুক্রবার রাতে পুলিশ শাহীন মোল্লা ও লাকী আক্তার কে থানায় নিয়ে যায়। এবং লাকী আক্তারের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি ধর্ষণ মামলার প্রস্তুতির কার্যক্রম অব্যাহত থাকে।

লাকী আক্তারকে পুলিশ প্রহরায় গত ৮ মে ২০২১ তারিখ নড়াইল সদর হাসপাতালে ধর্ষণের আলামত পরীক্ষার জন্য পাঠান। এবং শাহীন মোল্লাকে ফৌ: ক: বি: ৫৪ ( ১) ধারা মোতাবেক জেল হাজতে প্রেরণ করেন।